কোরবানির হাটে গরু কিনতে যাবেন, আর গরুর বয়স জানবেন না, তাও কি হয়? কিন্তু গরুকে তো আর বয়স জিজ্ঞেস করা যায় না! আর গরুর বিক্রেতা আপনাকে ভুলভাল বয়স বলে এমন গরু গছিয়ে দেবে যা এতই বুড়ো যে মাংস রান্না করার উপায় নেই অথবা এত কমবয়সী বাছুর যা কোরবানির উপযুক্ত নয়। এমন অবস্থায় কি করবেন? অবশ্যই হাটে যাবার আগে গরুর বয়স কিভাবে বের করতে হয় তা জেনে নিতে হবে আপনার। সুকুমার রায়ের কবিতার মতো “গোঁফের আমি/গোঁফের তুমি /গোঁফ দিয়ে যায় চেনা” এই পদ্ধতিতে তো আর গরুর বয়স চেনা যাবে না, তবে গোঁফের বদলে দাঁত দেখা যেতে পারে। গরুর বয়স জানার সবচাইতে ভালো উপায় হল এর দাঁত পর্যবেক্ষণ করা। গরুর দাঁতের সংখ্যা এবং সেই দাঁতের ক্ষয়ের পরিমাণ দেখে নির্ণয় করা যায় তার বয়স। আমাদের যেমন দুধ দাঁত রয়েছে তেমন অস্থায়ী দাঁত গরুরও রয়েছে। স্থায়ী দাঁতের থেকে এগুলোকে সহজেই আলাদা করা যায় কারণ এগুলো আকারে ছোট এবং তুলনামুলকভাবে বেশি সাদা। একটা পূর্ণবয়স্ক গরুর মুখের ভেতরে ৩২ টা দাঁত থাকে। নিচের পাটিতে সামনের দাঁত বা কর্তন দন্ত থাকে ৮ টা। ওপরের পাটিতে সামনে কোনও দাঁত থাকে না। শুধু মাড়ির শক্ত অংশ থাকে যাকে বলে ডেন্টাল প্যাড। আর উভয় পাটির ভেতরের দিকে থাকে ছয়টা মোলার আর ছয়টা প্রিমোলার দাঁত যেগুলো চিবানোর জন্য ব্যবহার হয়।
এবার আর গরুর বয়স চিনতে ভুল করবেন না যেন! কারণ দুই বছর বয়সের নিচে গরু কিনলে আপনার কোরবানি হবে না আর বেশি বুড়ো গরু কিনলে তার মাংস খাওয়া যাবে না! তাই দাঁত দেখে নিশ্চিত হয়ে গরু কিনুন।