ওয়েট কমাতে গিয়ে নাজেহাল? কিছুতেই মনের মত হচ্ছে না ওয়েট? আজকের টিপস আপনাকে একমাসে ৫ কেজি পর্যন্ত ওয়েট কমাতে সাহায্য করবে। মেনে চলুন এই স্পেশাল টিপস গুলো।
একটা গোল সেট করে নিন
• প্রথমে ঠিক করে নিন যে আপনি একমাসে কতটা ওয়েট কমাতে চান। সাধারণত একমাসে ৪ থেকে ৮ পাউন্ড ওয়েট কমানো ভালো। একমাসে এর থেকে আরও বেশী ওয়েট কমানো শরীরের জন্য ঠিক নয়। তার মানে আপনাকে কমাতে হবে সপ্তাহে ১ থেকে ২ পাউন্ড ওয়েট।
• এই একমাস নিয়ম করে সঠিক খাবার ও অবশ্যই এক্সসারসাইজ। তবে না খেয়ে, অতিরিক্ত বেশী এক্সসারসাইজ এসব করে ওয়েট কমাবেন না।
• রোজের একটা রুটিন করে নিন। সেই মত চলুন।
ক্যালোরির পরিমাণ কমান
• এমনিতে রোজ যে ক্যালোরি খান তার থেকে কম ক্যালোরি খেতে হবে।
• ৫০০ ক্যালোরি কমান প্রতিদিন। তবে আবার রোজ ১২০০ ক্যালোরির কম আবার খাবেন না। তাহলে শরীর আবার অপুষ্টিতে ভুগবে।
• ব্যবহার করুণ ফুড জার্নাল বা ফুড জার্নাল অ্যাপ। তাহলেই ক্যালোরির সঠিক মাপটা বুঝতে পারবেন। এবং কীভাবে রোজের খাবার থেকে ক্যালোরির পরিমাণ কমাবেন।
• সব পাবেন ফুড জার্নাল অ্যাপে।
• পুষ্টিকর ও কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খান।
প্রতিদিন খাবারে প্রচুর ফল শাকসবজি সবজি
• একমাসে ৫কেজি ওয়েট কমাতে খাবারের দিকে তো একটু মন দিতেই হবে। ক্যালোরি কম করে খাবারে রাখুন প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল।
• তেল মশলা, ভাজা খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার এগুলো তো একটু ভুলে থাকতেই হবে।
• প্রতিদিন খাবারে ফল সবুজ শাকসবজি।
• একমাসে ওয়েট কমাতে, প্রতিদিন কি খাচ্ছেন কতটা খাচ্ছেন সেটা দেখা জরুরী।
• এক্ষেত্রেও আপনাকে সাহায্য করতে পারে ফুড জার্নাল অ্যাপ।
• হোল গ্রেইন জাতীয় খাবার বেশী করে খান।
• বিকেলের স্নাক্স কমিয়ে দিন। যদি খিদে পায় তাহলে কম ক্যালোরি যুক্ত স্নাক্স খান। স্নাক্সে ১৫০ গ্রামের বেশী ক্যালোরি বেশী না হলেই ভালো।
• প্রোটিন ও ফাইবার যুক্ত খাবার বেশী খান। যেটা অল্প খেলেই পেট ভরে যায়।
অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিন
• জানি একটু ভাজাভুজি মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করেই। কিন্তু নিজেকে স্লিম অ্যান্ড ফিট দেখাতে ওগুলো ডায়েট চার্ট থেকে বাদ দিলেই ভালো।
• যেমন সোডা,চিপস ,ক্যান্ডি, সাদা পাস্তা, ভাত, রুটি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফ্রুকটোজ জাতীয় খাবার, এনার্জি ড্রিঙ্ক, ক্রিমি কফি ইত্যাদি খাবার বর্জন করাই ভালো।
পানি বেশী করে পান করুন
• পানি শুধু যে শরীর স্কিন হাইড্রেটেড রাখে তা নয়। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বার করে আপনার দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রনে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে।
• সকালে খালি পেটে ১ থেকে দু গ্লাস পানি খান।
• এছাড়াও সারাদিনে প্রচুর পানি খান। সারাদিনে অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খাওয়া দরকার।
এছাড়াও মাঝে মাঝে চলতে পারে লেবু পানি। তবে দোকানের সফট ড্রিঙ্কস নয়।
অ্যারোবিক এক্সসারসাইজ করুণ
• রোজ ব্যায়াম করার সময় না থাকলে করুণ অ্যারোবিক এক্সসারসাইজ।
• যেমন বাইকে যাওয়ার বদলে, যতটা সম্ভব সাইকেল চালান।
• এছাড়াও সপ্তাহে দু তিনদিন সাঁতার, কিংবা রোজ একটু করে দৌড়নো বা হাঁটা।
• নাচ ভালো লাগলে যোগ দিন ড্যান্স ক্লাসে।
অন্যান্য ব্যায়াম
• এইসব করার সাথে সাথে, রোজ একটু করে অন্যান্য ব্যায়াম যোগা করুণ মাঝে মাঝে। রোজ একান্তই সময় না হলে, সপ্তাহে তিনদিন করুণ।
• বাড়িতে করার সময় না থাকলে জিমে যান। তবে ব্যায়াম ছাড়বেন না কিন্তু। আর ব্যায়াম করার আগে কিন্তু পেট ভর্তি খাবার একদম নয়। পেট খালি রাখবেন।
অন্যান্য
• রোজের ঘুমটা যেন, ভালো হয়। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরী। সাথে নিজেকে রাখুন স্ট্রেস ফ্রী।
• অবসর সময়ে একটু পরিশ্রম মূলক কাজ করুণ। এছাড়াও বাগান পরিচর্যা, বাড়ির বাচ্ছাদের সাথে খেলাধুলা।
• এছাড়াও বিভিন্ন খেলা যেমন ভলিবল, ফুটবল, টেনিস এসব খেলতে পারেন। এগুলোতেও ফ্যাট বার্ন হয়।
• এছাড়াও রাতে বা দুপুরে খাবার পর মিনিট দশেক হেঁটে নিন। এতে অসাধারণ ফ্যাট বার্ন হয়।
• একমাস মন দিয়ে এই টিপস গুলো মেনে চলুন।
• সাথে এই একমাস ভাজাভুজি বন্ধ রেখে লো ক্যালোরি যুক্ত খাবার খান।
• এবং অবশ্যই শরীরকে খাটান। ব্যাস তাহলে ওয়েট না কমে যাবে কোথায়!