শুকনা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা :
শুকনা মরিচের উপকারিতা :
টিস (Diabetes)
মরিচের প্রধান রাসায়নিক উপাদানের নাম ক্যাপসিসিন,যা তীব্র ঝাল লাগার অনুভুতি সৃষ্টি করে থাকে।ক্যাপসিসিন নামক এই উপাদানটি রক্তে সুগারের মাত্রা কমায়।
স্থূলতা (Obesity)
ক্যাপসিসিন হলো এক ধরনের থার্মোজেনিক উপাদান যা বিপাক ক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে এবং চর্বি ভাঙ্গন প্রক্রিয়াতে বিশেষ উপকরন হিসাবে কাজ করে।
ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি
মরিচে যে ফাইটোকেমিকেল থাকে তা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে ডায়বেটিস নিউরোপ্যাথি সম্পর্কিত ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
ক্যান্সার
এতে ফাইটোকেমিকেল প্রচুর পরিমানে আছে।ফাইটোকেমিকেল নামক এনজাইমের বিরূদ্ধে কাজ করে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে,জ্যান্থিন অক্সিডেজ এমন একটি এনজাইম যা ফ্রি-র্যাডিকেল তৈরি করে ডিএনএ (DNA) এবং সেলুলার টিস্যু নষ্ট করে দেয়।
পাকস্থলির ক্ষত
মরিচ পাকস্থলির অভ্যন্তরীণ দেয়াল কে উদ্দীপিত করে এক ধরনের রস নিঃসন করতে সাহায্য করে এর মাধ্যমে পাকস্থলি ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।হজম এবং অন্ত্রের মাংস পেশির ক্রিয়াশীলতা স্বাভাবিক রাখে, যার ফলে হজমে সহায়ক এনজাইম নিঃসৃত হয় এবং খাবারের পুষ্টি সহজেই শোষিত হয়।
শুকনা মরিচের অপকারিতা :
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ / বুকজ্বালা (Gastroesophageal reflux disease)
শুকনা মরিচ অধিক পরিমাণে গ্রহণের ফলে গ্যাস্ট্রো-ফাগিয়েল রিফ্লাক্স (GER) হতে পারে।
লিভার ক্যান্সার (Liver cancer)
শুকনা মরিচে অ্যাফ্লাটোক্সিন নামক ক্ষতিকর যৌগ রয়েছে যা পাকস্থলী, যকৃত ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
পাকস্থলীর ক্যান্সার (Stomach cancer)
শুকনা মরিচে অ্যাফ্লাটোক্সিন নামক ক্ষতিকর যৌগ রয়েছে যা পাকস্থলী, যকৃত ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
ওরাল ক্যাভেটি, গলা ও পেটের সমস্যা
যারা ওরাল ক্যাভেটি, গলা ও পেটের সমস্যায় ভুগছেন তারা অধিক পরিমাণে শুকনা মরিচ গ্রহণ করলে শরীরে বিভিন্নধরণের প্রদাহ ও জ্বালা পোড়া দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ঠাণ্ডা দই গ্রহণ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
কোলন ক্যান্সার
শুকনা মরিচে অ্যাফ্লাটোক্সিন নামক ক্ষতিকর যৌগ রয়েছে যা পাকস্থলী, যকৃত ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।