অনেক দম্পতির সন্তান হতে সমস্যা হয় যার সমস্ত দোষ যেয়ে পড়ে শুধুমাত্র স্ত্রীর উপরেই। কিন্তু পুরুষ হোক অথবা নারী বন্ধ্যাত্ব যেকোনো মানুষেরই হতে পারে।
একসময় এই বন্ধ্যাত্বের সমস্যার কারণে হাজারো সুখের সংসার ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু এখন এর চিকিৎসা করা সম্ভব। সঠিক সময়ে বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ চিহ্নিত করে সুচিকিৎসার মাধ্যমে আপনিও বন্ধ্যাত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে। চলুন তবে বন্ধ্যাত্বের লক্ষণগুলো জেনে নেই-
বন্ধ্যাত্বের ৯টি লক্ষণ :
- অস্বাভাবিক মাসিক হবে। মাসিকের সময় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বা কম রক্ত বের হবে।
- মাসিকের সময় ঠিক থাকবে না অর্থাৎ অনিয়মিত মাসিক হবে।
- কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ করে মাসিক হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
- মাসিকের সময় প্রচণ্ড ব্যথা হবে। সাথে সাথে কোমরে, পিঠে, পেলভিসে ব্যথা হবে। মাঝে মাঝে মাংশপেশিতে টান ধরে।
- ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্রণ হওয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- যৌনসঙ্গমের ইচ্ছা কমে যাবে এবং যৌনসঙ্গমের সময় প্রচণ্ড ব্যথা হবে।
- হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি পাবে।
- চুল পড়ে যাবে এবং চুল পাতলা হয়ে যাবে। এছাড়া ঠোঁটের পাশে, বুকে এবং থুতনিতে অতিরিক্ত কালো চুল উঠতে শুরু করবে।
- স্তন থেকে দুধের মতো সাদা রস নির্গত হবে।
কীভাবে বুঝবেন বন্ধ্যাত্ব দেখা দেবার সম্ভবনা রয়েছে?
- সন্তান নিতে চাওয়ার ১ বছরের মধ্যে গর্ভে সন্তান না আসলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
- মহিলাদের বয়স ৩৫ এর উপরে হলে অথবা অনিয়মিত মাসিক হলে ১ বছর অপেক্ষা করা যাবে না।
- ৬ মাসের মধ্যে ডাক্তারের দেখানো উচিৎ।
- শুধু মহিলা নয় তার সঙ্গীরও ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।
যে সকল সমস্যার কারণে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে :
পুরুষের ক্ষেত্রে :
- শুক্রাণু উৎপাদন কমে গেলে।
- শুক্রাণুর পরিবহণে সমস্যা হলে।
- শুক্রাণুর আকৃতি সঠিক না হলে।শুক্রাণু বের হওয়ার পথ বন্ধ বা বাধাগ্রস্ত হলে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে :
- ওভারিতে সঠিক সময়ে ডিম্বাণু প্রস্তুত না হলে।
- ফেলোপিয়ান টিউব বন্ধ হয়ে গেলে।
- সার্ভিক্স অথবা জরায়ুতে সমস্যা দেখা দিলে।