আপনার চাঁদমুখটিকে কলঙ্ক এনে দেয়ার জন্য একটি আঁচিলই যথেষ্ট। আঁচিল হয় মূলত তৈল গ্রন্থির অতিরিক্ত কার্যকারিতার ফলে। এছাড়াও বয়ঃসন্ধিকালে ও গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও আঁচিল হতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে আঁচিলের জন্য জেনেটিক কারণ ও অনেকাংশে দায়ী। আসুন জেনে নেই আঁচিল প্রতিরোধের বেশ কিছু উপায়।
চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান
- চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছোট একটি অপারেশন করে আঁচিল দূর করা হয়।
আপেল সিডার ভিনেগার
- এক টুকরো তুলায় আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে আঁচিলের উপর রেখে ব্যান্ডেজ করে রাখুন।
- ঘণ্টাখানেক রেখে আবার ধুয়ে ফেলুন।
- প্রতিদিন ব্যবহার করুন যতদিন না আঁচিল দূর হয়।
রসুন
- আধা কোয়া রসুন আঁচিলের উপর রেখে সারারাত ব্যান্ডেজ করে রাখুন।
- কিছুদিন পর আঁচিল মুছে যাবে।
কলার খোসা
- কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের উপর রাখুন।
- নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে।
বেকিং সোডা
- এক চিমটি বেকিং সোডার সঙ্গে কয়েক ফোটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে আঁচিলের উপর সারারাত রাখুন।
- কিছুদিন ব্যবহারে আঁচিল দূর হবে।
স্ট্রবেরি
- আঁচিলের উপর স্ট্রবেরি কেটে রাখলেও কাজে আসে।
আঙ্গুর
- আঙ্গুর নিয়ে চিপে রস বানিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার আঁচিলের উপর লাগান।
- নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল থেকে মুক্তি পাবেন।
অ্যালোভেরা
- ত্বকের আঁচিলের উপর কিছু পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন।
- ত্বক সম্পূর্ণ জেল শুষে নেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
- এটি দিনে তিনবার দুই সপ্তাহ ব্যবহার করুন।
পেঁয়াজ
- পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি এবং আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে সারারাত ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে পরদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটা আঁচিলের উপর ব্যবহার করুন।
- পরের দিন সকালে কুসুম কুসম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- এভাবে প্রতিরাতে ব্যবহার করুন।
- মনে রাখবেন, আঁচিল কখনই খোঁচাখুঁচি করবেন না।
- এতে রক্তপাত হবে এবং পুনরায় ওই স্থানে আঁচিল হবে।
- আর উপরের সবগুলো প্রক্রিয়া একসঙ্গে শুরু করতে যাবেন না।
- একটা কাজ না করলে আরেকটা শুরু করবেন।